প্রিন্টার কেনার আগে যা যা জানা দরকার
ভূমিকা
প্রিন্টার কেনার সময় অনেক বিষয় মাথায় রাখতে হয়। আপনার প্রয়োজন অনুসারে ইনজেট, লেজার, অল-ইন-ওয়ান বা পোর্টেবল প্রিন্টারের মধ্যে সঠিকটি নির্বাচন করাই গুরুত্বপূর্ণ। এই গাইডে আমরা প্রিন্টার কেনার আগে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো বিশদভাবে আলোচনা করব।
প্রিন্টারের ধরণ
প্রিন্টার সাধারণত চার ধরনের হয়ে থাকে:
- ইনজেট প্রিন্টার – ছবি ও সাধারণ প্রিন্টিংয়ের জন্য আদর্শ।
- লেজার প্রিন্টার – অফিস ও ব্যস্ত পরিবেশের জন্য উপযুক্ত, দ্রুত ও খরচ সাশ্রয়ী।
- অল-ইন-ওয়ান প্রিন্টার – প্রিন্টিং, স্ক্যানিং, কপিয়িং ও ফ্যাক্স সুবিধাসহ আসে।
- পোর্টেবল প্রিন্টার – ভ্রমণের জন্য ছোট ও হালকা প্রিন্টার।
আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী প্রিন্টার নির্বাচন
- বাসার জন্য – ইনজেট বা অল-ইন-ওয়ান প্রিন্টার ভালো হবে।
- অফিসের জন্য – লেজার প্রিন্টার খরচ কমাবে ও দ্রুত কাজ করবে।
- গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের জন্য – হাই রেজোলিউশনের ইনজেট প্রিন্টার ভালো হবে।
- ব্যবসার জন্য – উচ্চ স্পিড ও দক্ষতার জন্য লেজার প্রিন্টার।
মূল্য বিবেচনা ও অপারেশন খরচ
প্রিন্টার কেনার আগে শুধু মূল্য নয়, এর ব্যবহারিক খরচও বিবেচনা করা উচিত।
- কালি/টোনার খরচ – ইনজেট প্রিন্টারের কালি বেশি খরচ হয়, লেজারের টোনার তুলনামূলক সাশ্রয়ী।
- বজায় রাখা খরচ – কিছু প্রিন্টারে রেগুলার মেইনটেন্যান্স দরকার হয়।
- প্রতি পৃষ্ঠার খরচ – অফিসের জন্য প্রতি পৃষ্ঠার খরচ কম এমন প্রিন্টার উপযুক্ত।
গতি ও কার্যক্ষমতা
- PPM (Pages Per Minute) – লেজার প্রিন্টার ইনজেটের তুলনায় দ্রুত প্রিন্ট করতে পারে।
- ডুপ্লেক্স প্রিন্টিং – স্বয়ংক্রিয়ভাবে দু’পাশে প্রিন্ট করার সুবিধা আছে কি না তা দেখুন।
- সংযোগের অপশন – USB, Wi-Fi, Bluetooth, অথবা ক্লাউড প্রিন্টিং সাপোর্ট আছে কি না।
উপসংহার
আপনার প্রয়োজন ও বাজেট অনুযায়ী সঠিক প্রিন্টার নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ। লেজার ও ইনজেট প্রিন্টারের পার্থক্য বুঝে এবং খরচ ও কার্যক্ষমতা বিবেচনা করে সেরা সিদ্ধান্ত নিন।