02 Sep
02Sep

ফিজি, দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের এক দ্বীপপুঞ্জ, তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং সমৃদ্ধ সংস্কৃতির জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিত। ৩৩০টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত এই দেশটির ইতিহাস প্রাচীন পলিনেশিয়ান এবং মেলানেশিয়ান জনগোষ্ঠী থেকে শুরু হয়ে ঔপনিবেশিক শাসন এবং অবশেষে স্বাধীনতা অর্জনের দিকে ধাবিত হয়েছে।

ফিজির ইতিহাস

ফিজির প্রাচীন ইতিহাস প্রায় ৩৫০০ বছর আগে পলিনেশিয়ান এবং মেলানেশিয়ান জনগোষ্ঠীর আগমনের সাথে শুরু হয়। এই দ্বীপপুঞ্জটি বিভিন্ন প্রাকৃতিক সম্পদ এবং সামুদ্রিক বাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। ১৭৭৪ সালে ব্রিটিশ সমুদ্র অভিযাত্রী ক্যাপ্টেন জেমস কুক ফিজি দ্বীপপুঞ্জে পৌঁছানোর পর, ইউরোপীয়দের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে আসে এই অঞ্চল। ১৮৭৪ সালে ফিজি ব্রিটিশ উপনিবেশ হয়ে ওঠে, এবং ১৯৭০ সালে এটি স্বাধীনতা অর্জন করে।

ফিজি ভ্রমণ


দর্শনীয় স্থান

১. নাডি: ফিজির অন্যতম প্রধান শহর নাডি, যেখানে বিখ্যাত গার্ডেন অফ দ্য স্লিপিং জায়ান্ট অবস্থিত। এছাড়াও, নাডি থেকে কাছাকাছি অবস্থান করছে দ্য ইসাউয়া দ্বীপপুঞ্জ, যা তার সাদা বালির সমুদ্র সৈকত এবং সুস্পষ্ট নীল জলের জন্য প্রসিদ্ধ।

২. কোরাল কোস্ট: এই অঞ্চলটি সমুদ্র সৈকতপ্রেমীদের জন্য এক স্বর্গ। স্নরকেলিং এবং ডাইভিং-এর জন্য এটি অন্যতম সেরা স্থান। এখানকার প্রধান আকর্ষণ হলো সিগাটোকা ডিউন্স ন্যাশনাল পার্ক।

৩. সুবা: ফিজির রাজধানী সুবা, তার আধুনিক শহুরে পরিবেশের পাশাপাশি ঐতিহাসিক সাইটগুলির জন্য পরিচিত। ফিজি মিউজিয়াম, সুবার অন্যতম প্রধান পর্যটন কেন্দ্র, যেখানে ফিজির ইতিহাস এবং সাংস্কৃতিক সম্পদ তুলে ধরা হয়েছে।

ভ্রমণ গাইড

ফিজিতে ভ্রমণের সেরা সময় হলো মে থেকে অক্টোবর পর্যন্ত, যখন আবহাওয়া শুষ্ক এবং মনোরম থাকে।

যাতায়াত: নাডি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট ফিজির প্রধান গেটওয়ে, যেখানে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফ্লাইট এসে থাকে। দ্বীপপুঞ্জের অভ্যন্তরে ভ্রমণের জন্য নৌকা এবং ছোট বিমানগুলি বেশ জনপ্রিয়।

থাকাঃ ফিজির হোটেল এবং রিসোর্টগুলি বিভিন্ন ধরণের পর্যটকদের জন্য উপলব্ধ, বাজেট থেকে শুরু করে বিলাসবহুল সব ধরনের ব্যবস্থা আছে।

খাবার: ফিজিয়ান রান্না তাদের স্থানীয় ফলমূল, শাকসবজি, এবং সামুদ্রিক খাদ্যের জন্য পরিচিত। কোকোডা (Kokoda) এবং লোভো (Lovo) হলো ফিজির সবচেয়ে জনপ্রিয় স্থানীয় খাবার।

মন্তব্য
* ইমেলটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে না।