ভ্যাটিকান সিটি বিশ্বের ক্ষুদ্রতম স্বাধীন রাষ্ট্র, যা ইতালির রাজধানী রোমের মধ্যে অবস্থিত। ১৯২৯ সালে ভ্যাটিকান সিটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে গঠিত হয় এবং এটি রোমান ক্যাথলিক চার্চের প্রধান কেন্দ্র। পোপের নেতৃত্বে পরিচালিত এই রাষ্ট্রটি ধর্মীয়, ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক গুরুত্বে সমৃদ্ধ।
ভ্যাটিকান সিটির আয়তন মাত্র ৪৪ হেক্টর, এবং জনসংখ্যা প্রায় ৮০০ জনের মতো। এখানে রোমান ক্যাথলিক চার্চের উচ্চপদস্থ ধর্মীয় ব্যক্তিত্বরা বসবাস করেন। সারা বিশ্বে ক্যাথলিক ধর্মের সকল কার্যক্রম এখান থেকেই নিয়ন্ত্রিত হয়।
ভ্যাটিকান সিটির ইতিহাস রোমান সাম্রাজ্যের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। ১৯২৯ সালে ল্যাটেরান চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর ভ্যাটিকান সিটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পায়। এটি কেবলমাত্র ধর্মীয় কার্যক্রম নয়, বরং ইতিহাস, শিল্পকলা, এবং স্থাপত্যের ক্ষেত্রে অমূল্য ভূমিকা পালন করে আসছে।
ভ্যাটিকান সিটিতে বেশ কিছু বিখ্যাত স্থাপনা রয়েছে, যেগুলো প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ পর্যটককে আকর্ষণ করে:
পোপ হলেন ভ্যাটিকান সিটির শাসক এবং রোমান ক্যাথলিক ধর্মের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা। বর্তমান পোপ ফ্রান্সিস ক্যাথলিক ধর্মের সমর্থনে একাধিক উদ্যোগ নিয়েছেন এবং ধর্মীয় সহিষ্ণুতা ও মানবাধিকার উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
বিশ্বব্যাপী ক্যাথলিক চার্চের কার্যক্রমের কেন্দ্রভূমি হিসেবে ভ্যাটিকান সিটি অসংখ্য ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক প্রভাব ছড়িয়ে দেয়। প্রতিবছর মিলিয়ন মিলিয়ন ধর্মপ্রাণ মানুষ এখানকার ধর্মীয় কার্যক্রমে অংশ নিতে আসেন। বিশেষত, ইস্টার এবং ক্রিসমাস উপলক্ষে এখানে বিশেষ ধর্মীয় উৎসব উদযাপিত হয়।
ভ্যাটিকান সিটি বিশ্বের ক্ষুদ্রতম অর্থনীতি হিসেবে পরিচিত। দেশটি মূলত পর্যটন, ধর্মীয় অনুদান এবং স্মারক বিক্রয়ের উপর নির্ভরশীল। এছাড়া, ভ্যাটিকান সিটি তার নিজস্ব ডাক টিকিট এবং কয়েন জারি করে, যা সংগ্রাহকদের কাছে দামী।
ভ্যাটিকান সিটি ভ্রমণে কিছু টিপস রয়েছে যা মনে রাখা জরুরি:
ভ্যাটিকান সিটি পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম দেশ হলেও এর প্রভাব, ঐতিহ্য, এবং ধর্মীয় গুরুত্ব অত্যন্ত ব্যাপক। পোপের নেতৃত্বে পরিচালিত এই পবিত্র স্থানটি বিশ্বের ক্যাথলিক ধর্মপ্রাণ মানুষদের জন্য অন্যতম প্রধান গন্তব্য।