শীতকালে ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যায়, যা ত্বকের আর্দ্রতা এবং উজ্জ্বলতা কমিয়ে দেয়। শীতকালে ত্বককে আর্দ্র ও কোমল রাখতে এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি দিতে ঘরোয়া ফেস মাস্ক একটি দারুণ সমাধান। এখানে এমন কিছু ঘরোয়া ফেস মাস্কের রেসিপি দেওয়া হলো যা সহজেই তৈরি করা যাবে এবং ত্বককে শীতে সজীব রাখবে।
উপকারিতা: কলায় পটাশিয়াম ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে যা ত্বককে আর্দ্র রাখে, আর মধু প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে।
যা যা লাগবে:
প্রস্তুত প্রণালী:
কলা ভালোভাবে চটকে মধুর সাথে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রেখে দিন। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এই মাস্ক ত্বককে নরম ও মসৃণ রাখবে।
উপকারিতা: দইতে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড ত্বককে উজ্জ্বল করে আর ওটস মৃদু এক্সফোলিয়েটর হিসেবে কাজ করে, যা মৃত কোষ দূর করে।
যা যা লাগবে:
প্রস্তুত প্রণালী:
দই ও ওটস একসাথে মিশিয়ে মুখে লাগান। ১০-১৫ মিনিট পরে ত্বকে হালকাভাবে মাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বককে পরিষ্কার এবং কোমল করবে।
উপকারিতা: শসা ত্বক ঠান্ডা রাখে আর অ্যালোভেরা ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে।
যা যা লাগবে:
প্রস্তুত প্রণালী:
শসার রস ও অ্যালোভেরা জেল ভালোভাবে মিশিয়ে মুখে লাগান। ১৫-২০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এটি ত্বকের শুষ্কতা দূর করে আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনে।
উপকারিতা: ডিমের কুসুমে থাকা প্রোটিন ত্বককে পুষ্টি যোগায় আর অলিভ অয়েল ত্বককে গভীরভাবে ময়েশ্চারাইজ করে।
যা যা লাগবে:
প্রস্তুত প্রণালী:
ডিমের কুসুম ও অলিভ অয়েল মিশিয়ে মুখে লাগান। ১৫ মিনিট পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বককে শুষ্কতা থেকে রক্ষা করবে এবং মসৃণ রাখবে।
উপকারিতা: মধু প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে এবং কাঁচা দুধ ত্বককে পরিষ্কার ও উজ্জ্বল করে।
যা যা লাগবে:
প্রস্তুত প্রণালী:
মধু ও দুধ মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে দিন। তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বকের শুষ্কতা দূর করবে এবং ত্বককে নরম ও উজ্জ্বল করবে।
উপকারিতা: দুধ ত্বককে নরম করে এবং বেসন ত্বকের অতিরিক্ত তেল শোষণ করে।
যা যা লাগবে:
প্রস্তুত প্রণালী:
বেসনের সাথে দুধ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এটি মুখে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট রেখে দিন এবং তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বককে ফর্সা ও মসৃণ করবে।
শীতকালে ঘরোয়া এই ফেস মাস্কগুলো ব্যবহার করে ত্বককে ময়েশ্চারাইজড, উজ্জ্বল ও কোমল রাখা যায়। নিয়মিত এসব মাস্ক ব্যবহার করলে ত্বক শীতকালেও রুক্ষতার হাত থেকে রক্ষা পাবে এবং স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ধরে রাখবে।