শীতকালে ত্বকের আর্দ্রতা হারিয়ে গিয়ে তা শুষ্ক ও খসখসে হয়ে যায়। সঠিক যত্ন নিতে ত্বকে এমন কিছু প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করা যেতে পারে যা ত্বককে গভীরভাবে হাইড্রেট করে এবং মসৃণ রাখে। এই ঘরোয়া উপাদানগুলো সহজেই পাওয়া যায় এবং ত্বকের জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ। চলুন, শীতকালে ত্বকের যত্নে জরুরি ৫টি উপাদান জেনে নিই।
নারকেল তেল শীতে ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে খুবই কার্যকরী। এতে থাকা প্রাকৃতিক ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বকের গভীরে গিয়ে আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং ত্বককে নরম ও মসৃণ করে।ব্যবহার: রাতে মুখ পরিষ্কার করে সরাসরি নারকেল তেল লাগান। ঘুমের আগে এটি লাগিয়ে রাখলে ত্বক গভীরভাবে পুষ্টি পায়।
মধু একটি প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার, যা ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। এতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদানও রয়েছে, যা শীতে ত্বকের নানা সমস্যা কমাতে সহায়তা করে।ব্যবহার: সপ্তাহে ২-৩ বার ত্বকে একটুখানি মধু লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রেখে দিন এবং কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
অ্যালোভেরা ত্বকে ত্বরিতভাবে আর্দ্রতা যোগ করে এবং শীতকালে শুষ্কতা থেকে মুক্তি দেয়। এটি ত্বকের জ্বালা কমাতেও সহায়ক।ব্যবহার: অ্যালোভেরা জেল সরাসরি ত্বকে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এটি দিনে একবার ব্যবহার করা যেতে পারে।
দই ত্বককে নরম এবং আর্দ্র রাখে। এতে উপস্থিত ল্যাকটিক অ্যাসিড ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে সহায়তা করে, যা শীতে ত্বককে মসৃণ রাখে।ব্যবহার: এক চামচ দই মুখে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট রেখে দিন, তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে ১-২ বার ব্যবহার করা যেতে পারে।
অলিভ অয়েল ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সহায়ক এবং এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের পুষ্টি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।ব্যবহার: গোসলের আগে ত্বকে অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করুন এবং গোসলের পর ত্বক আরও মোলায়েম হয়ে থাকবে।
শীতকালে ত্বকের শুষ্কতা ও রুক্ষতা কমাতে এই ঘরোয়া উপাদানগুলো খুবই উপকারী। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক হয়ে উঠবে উজ্জ্বল, মসৃণ এবং সুস্থ।