শীতকালে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখা অনেক কঠিন হয়ে ওঠে। শুষ্ক ও ঠান্ডা আবহাওয়ার প্রভাবে ত্বক শুষ্ক, ফাটাফাটি ও খসখসে হয়ে যায়। তাই এই ঋতুতে ত্বকের সঠিক যত্ন নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চলুন, শীতকালে ত্বক সুস্থ ও উজ্জ্বল রাখতে সহজে অনুসরণযোগ্য ১০টি উপায় জেনে নিই।
শীতকালে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে নিয়মিত ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। ক্রিম বা লোশন জাতীয় ময়েশ্চারাইজার বেছে নিন যা ত্বকের গভীরে গিয়ে আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করবে।
শীতে গরম পানিতে গোসলের আকাঙ্ক্ষা থাকতে পারে, তবে তা ত্বককে আরও শুষ্ক করে তোলে। ঠান্ডা বা কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করুন এবং গোসলের পর ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে ভুলবেন না।
শীতকালে আমরা অনেকেই পর্যাপ্ত জল পান করতে ভুলে যাই, কিন্তু ত্বক সুস্থ রাখার জন্য এটি অত্যন্ত জরুরি। পর্যাপ্ত জল পান ত্বককে হাইড্রেটেড ও মসৃণ রাখতে সাহায্য করে।
প্রাকৃতিক তেল, যেমন নারকেল তেল, অলিভ অয়েল বা আমন্ড অয়েল ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখার জন্য দারুণ কাজ করে। গোসলের আগে বা রাতে ঘুমানোর আগে ত্বকে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করে নিন।
শীতকাল মানেই সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে রেহাই নয়। তাই শীতেও বাইরে বের হলে ত্বকে সানস্ক্রিন লাগানো উচিত। এটি ত্বককে রোদের ক্ষতি থেকে রক্ষা করবে।
শীতকালে ঘরের বাতাস শুষ্ক হয়ে যায়, যা ত্বককে আরও শুষ্ক করে তোলে। ঘরে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করলে বাতাসে আর্দ্রতা বজায় থাকে এবং ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়ার সমস্যা কমে।
শীতে ত্বকে মৃত কোষ জমে বেশি। সপ্তাহে ১-২ বার মৃদু এক্সফোলিয়েটর দিয়ে ত্বকের মৃত কোষ দূর করলে ত্বক মসৃণ থাকে এবং ময়েশ্চারাইজার সহজে শোষিত হয়।
ত্বক সুস্থ রাখতে পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস জরুরি। শীতকালীন ফল ও সবজি যেমন কমলালেবু, গাজর, পালং শাক ইত্যাদি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
ক্যাফেইন ও অ্যালকোহল ত্বককে শুষ্ক করে দিতে পারে। তাই শীতে এসব এড়িয়ে জল বা ভেষজ চা পান করুন যা ত্বককে হাইড্রেটেড রাখবে।
ঘুম ত্বক পুনর্জীবিত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। শীতে পর্যাপ্ত ঘুম ত্বকের আর্দ্রতা ও উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।
শীতকালে ত্বকের যত্ন নেওয়া যেন আর কঠিন না লাগে। এই সহজ টিপসগুলো অনুসরণ করলে আপনি শীতে ত্বককে শুষ্কতা ও ফাটাফাটি থেকে রক্ষা করতে পারবেন। সুস্থ ও মসৃণ ত্বক পেতে এই নিয়মগুলো মেনে চলুন এবং শীতে ত্বককেও দিন অতিরিক্ত যত্ন।